Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

একটি বাড়ি একটি খামার

একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে আগামী ২০২০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের দারিদ্র্যের সংখ্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার লক্ষ্য হাতে নিয়েছে সরকার। এ প্রকল্পের আওতায় আনা হবে দেশের ৮১ হাজার গ্রামের ৭৫ লাখ পরিবারকে। এ ধরনের একটি প্রস্তাবনা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত সচিব ও জাতীয় প্রকল্প পরিচালক ড. প্রশান্ত কুমার রায়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো প্রস্তাবে বলা হয়েছে, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আওতায় দারিদ্র্যশূন্য কর্মপরিকল্পনা হচ্ছে ২০২০ সালের মধ্যে বর্তমান দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসরত সকল মানুষের স্থায়ী পুঁজি গঠন ও জীবিকায়ন নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে আয়বৃদ্ধিসহ দারিদ্র্য নিরসন।

দাদন ব্যবসায়ী ও সুদখোর এনজিও’র তথাকথিত মাইক্রোক্রেডিট নামক নব্য শোষণ থেকে দরিদ্র জনগণকে স্থায়ীভাবে মুক্তি দেয়া। সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বোনাস ও ঘূর্ণায়মান তহবিল প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব অবদান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। অনলাইন লেনদেনের মাধ্যমে শতভাগ স্বচ্ছ একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দেশের পাঁচ কোটি দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করা।

প্রকল্প অর্জনের বিষয় বলা হয়েছে, দেশে বর্তমানে ৭৫ লাখ পরিবার দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করে। দেশে বর্তমানে ০-৫০ শতক জমির মালিক এমন পরিবারের সংখ্যা এক কোটি। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আওতায় ০-৫০ শতক জমির মালিক এই এক কোটি পরিবারকে জীবিকায়নের মাধ্যমে দারিদ্র্যমুক্ত করে বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার সরকারি অঙ্গীকার।

প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন
প্রথম ধাপ: ২০১০-২০১৩ সনের মধ্যে ১৭ হাজার ৩০০ গ্রামের ১০ লাখ ৩৮ হাজার পরিবারকে প্রকল্পভুক্ত করে এক হাজার ৩৩২ কোটি টাকার তহবিল সৃষ্টি ও ৯০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে ৬ লাখ ৮০ হাজার কৃষি/অকৃষি জীবিকায়ন কার্যক্রম গ্রহণ।
 
প্রস্তাবনায় আরো বলা হয়েছে, বর্তমান সরকারের জন্য দু’টি বড় চ্যালেঞ্জ দারিদ্র্য বিমোচন ও দুর্নীতিমুক্ত সুশাসন ব্যবস্থা। এই খাতে যত অর্থ ব্যয় হয় তা একটি ব্যানারের নিচে আনয়ন করতে একটি দারিদ্র্য বিমোচন মন্ত্রণালয়/ অধিদপ্তর গঠন করা যেতে পারে। যার অধীনে একটি বাড়ি একটি খামারের ন্যায় অনলাইন স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা করে অর্থ ও সম্পদের যথার্থ ব্যবহার নিশ্চিতকরণের মধ্য দিয়ে স্থায়ী পুঁজি, স্থায়ী জীবিকায়ন তথা স্থায়ী আয় বৃদ্ধি করে দারিদ্র্যমুক্তির পথকে সুগম করা যেতে পারে।

বর্তমানে এ প্রকল্পের আওতায় গ্রাম সমিতির সংখ্যা ৩৭ হাজার সাতশত। প্রকল্পের উপকার ভোগীর সংখ্যা ২২ লাখ ৬২ হাজার। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উপকারভোগীর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ১৩ লাখ জন। প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ১২৯ জন। সদস্যদের ব্যক্তিগত সঞ্চয় জমা হয়েছে ৫৭০ কোটি টাকা। সরকার কর্তৃক দরিদ্র উপকারভোগীদের বোনাস প্রদান ৩৫৫ কোটি টাকা এবং বর্তমানে গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৩৫ কোটি।